
মানুষেরা ইকুয়ালিটি’র গান গাইলেও অন্তরের অন্তস্থল থেকে ইকুয়ালিটি চায় না।
ফলশ্রুতিতে, যারা সব চাইতে কম সমতা চায় বলতে গেলে দেখা যায় সেকুল্যার মনোভাবের মানুষদের তারাই সবচাইতে বড় শত্রু মনে করে।
কারণ অন্য যে কোন মতবাদের গোষ্ঠিদের মাঝে বিশুদ্ধ সেকুলা মতবাদ সব চাইতে বেশি ইকুয়ালিটির কথা বলে। সকল ধর্ম মতকে যেমন ইকুয়ালি ট্রিট করে তেমনি মানুষকেও আনইকুয়ালি সব প্রাণীকুলের উর্ধ্বে কিছু মনে করে না। এখানেও সব কিছু ইকুয়ালি ইউনিক মনে করে।
এভাবে, সংকীর্ণ ইসলামিস্ট বা জামাতি টাইপের ধারক বাহকরা যেমন সেকুলারিজম দেখতে পারে না এবং এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সবচাইতে বড় শত্রু মনে করে তেমনি উগ্র হিন্দুত্ববাদ, খ্রিষ্টত্ববাদ, ইয়াহুদীবাদ, কিংবা ডান বা বাম কনজার্ভেটিভ রাজনৈতিক দলগুলোর মতো সকল ধর্মীয় বা রাজনৈতিক মতবাদের গোষ্ঠিরাও সেকুলার গোষ্ঠীকে শত্র ঠাওরায়। কারণ একটাই – সবাই বিশ্বাস করে ইনিকুয়ালিটিতে এবং মনে করে তারাই শ্রেষ্ঠ ও সঠিক।
অপরদিকে সেকুলার মনো ভাবের মানুষদের বিজ্ঞান নিয়ে যারা কাজ করে তাদের মাঝে বেশ রকমে দেখা যায়। কারণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিটাই এক ধরণের ‘ইকুয়ালি ট্রিট’ করার যৌক্তিক পদ্ধতি। যারা ওই মননের অধিকারী তারা বিজ্ঞানে ঝুকে। আবার, বিপরীত মননের অধিকারী হলেও কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞানে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ার ফলে মননে অনেকে আবার ইকুয়াল চিন্তার অধিকারী না হয়েও কাজের ক্ষেত্রে ইকুয়ালিটির প্রতি সহিষ্ণুতা দেখানো তাদের প্রাক্টিসে পরিনত হয়। তাই বৈজ্ঞানিকেদের বা বিজ্ঞানমনস্কদের সেকুলারিজমের সাথে মিলিয়ে ফেলে নন-লিনিয়ার পদ্ধতিতে সমাজের শত্রু হিসেবে দেখা হয়।
